বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৫, ০১:৪৪ পূর্বাহ্ন

News Headline :
মানববন্ধনের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন শ্যামনগরে গাছের সাথে ধাক্কা খেয়ে সড়কে ভ্যান চালকের মৃত্যু রাজশাহীর মোহনপুরে মদ পানে ৩ জনের মৃত্যু, গ্রেফতার ২ রাজশাহী মহানগর বিএনপি’র সাতটি থানার আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা যানজট নিরসন দুর্ঘটনা প্রতিরোধে ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার উন্নয়নে আরএমপি’র মতবিনিময় সভা শ্যামনগরে এবার কৃষকরা আমন ধানের আশানুরুপ ফলন পেয়েছে পাবনায় পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় ৩ জন নিহত ১জন আহত শাজাহানপুরে বিএনপি’র চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনা করে ছাত্রদলের দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত মান্দায় বিল উন্মুক্তের দাবিতে জেলেদের সংবাদ সম্মেলন সভাপতির স্বৈরাচারী আচরন স্বজনপ্রীতি ও দুর্নীতিতে পাবনা শহর সমাজ সেবা কার্যালয়ের কার্যক্রম স্থবির

কুড়িগ্রামে ছড়াচ্ছে গরুর লাম্পি স্কিন রোগ

Reading Time: 2 minutes

নয়ন দাস,কুড়িগ্রাম:

কুড়িগ্রামে বিভিন্ন এলাকায় গরুর শরীরে ছড়িয়ে পড়েছে লাম্পি স্কিন রোগ (এলএসডি)। জেলা সদর, নাগেশ্বরী ও উলিপুর উপজেলার বেশ কিছু ইউনিয়নে গরুর শরীরে এই রোগ দেখা দিয়েছে। অন্তত চারটি গরু মারা গেছে। দুই বছর ধরে দেশে এলএসডি দেখা যাচ্ছে। এটি ভাইরাসজনিত রোগ বলে জানান জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মো. ইউনুছ আলী। তিনি বলেন, ‘এই রোগে গরুর চামড়ার উপরিভাগে সারা শরীরে গোটার সৃষ্টি হয়। মশা ও মাছির কামড়ে এক পশু থেকে আরেক পশুতে ছড়ায়। এর চিকিৎসায় এখনো সুনির্দিষ্ট কোনো টিকা দেশে আসেনি। এই রোগ প্রতিরোধে আমরা গোট পক্স ভ্যাকসিন দিই।’ উলিপুর উপজেলার বেগমগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য সফিকুল ইসলাম বলেন, ‘এলাকায় অনেক গরুর মধ্যে লাম্পি স্কিন রোগ দেখা দিয়েছে। আমি নিজেও এই এলাকায় পশু চিকিৎসা করি। অনেকে আমার কাছে আক্রান্ত গরু এনে চিকিৎসা করিয়ে নিচ্ছেন। গত বৃহস্পতিবার সকালেও স্থানীয় মশালের চর এলাকা থেকে এক ব্যক্তি আক্রান্ত গরু নিয়ে আসেন।’ সফিকুল ইসলামের তথ্যের সূত্র ধরে রসুলপুর গ্রামের নজর আলী ও বাদশা মামুদের বাড়িতে গিয়ে লাম্পি স্কিন রোগে আক্রান্ত গরু পাওয়া গেছে। বাদশা মামুদের স্ত্রী আনোয়ারা বেগম বলেন, ‘এক মাস ধরে দুটি গরুর শরীরে এই রোগ দেখা দিছে। অনেক টাকা খরচ করে চিকিৎসা করিয়াও ভালো হইতেছে না। এখন আর চিকিৎসা করতেছি না। ইয়ার মধ্যে গরুর পায়ের খুরাত ঘা হইছে। হলুদ-টলুদ দিয়া রাখতেছি।’ পনেরো দিন আগে রসুলপুর গ্রামের রেজিয়া বেগমের একটি গরুর বাছুরের গায়ে গোটা বের হতে শুরু করে। পরে তিনি স্থানীয় পল্লিচিকিৎসক সফিকুল ইসলামের দ্বারস্থ হন। কিন্তু তাঁর বাছুরের শরীরে গোটার পরিমাণ কমেনি; বরং বাছুরটি দিন দিন দুর্বল হয়ে পড়ছে। রেজিয়া বলেন, ‘বাছুরের গাত গোটা উঠছে। সফি মেম্বারের কাছে ওষুধ নিয়া চিকিৎসা করাইছি। কিন্তু গোটা ভালো হয় নাই। এখন মেম্বার আর ওষুধ দেয় না। বলছে গোটা ফুটি না বেড়াইলে আর ওষুধ দেওয়া যাবার নয়। এলা বাছুরটা অমনে আছে।’ এদিকে উলিপুরের দলদলিয়া, বজরা ও মাঝবিল এলাকায় এলএসডিতে আক্রান্ত হয়ে অন্তত চারটি গরু মারা গেছে বলে খবর পাওয়া গেছে। উলিপুর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মো. রেজওয়ানুর হক বলেন, ‘তিন-চার মাসে উপজেলায় ৭০০ থেকে ৮০০ গরু এলএসডিতে আক্রান্ত হয়েছে। চিকিৎসায় অনেক গরু সুস্থ হয়েছে। এখনো এই রোগে গবাদিপশু আক্রান্ত হচ্ছে। আমরা খবর পেলেই সে এলাকায় ভ্যাকসিন কার্যক্রম শুরু করছি।’ নাগেশ্বরী উপজেলাও এলএসডির প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে বলে জানিয়েছে উপজেলা প্রাণিসম্পদ বিভাগ। উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মো. আশিকুজ্জামান বলেন, ‘আমার উপজেলায় এই রোগের প্রাদুর্ভাব শুরু হয়েছে। প্রতিদিনই দু-একটি আক্রান্ত পশু নিয়ে ভুক্তভোগী কৃষকেরা প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ে আসছেন। আমরা চিকিৎসা দিচ্ছি।’

Please Share This Post in Your Social Media

Design & Developed BY Hostitbd.Com